মোছা.ফায়জুন্নাহার শান্তা
অনার্স ১ম বর্ষ, আইন ও বিচার বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
“পানির অপর নাম জীবন”—এই প্রবাদবাক্যটি ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শুধু পানি থাকলেই জীবন রক্ষা হয় না, প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। বিশ্বজুড়ে আজও কোটি কোটি মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। ফলে পানিবাহিত রোগ, কৃষি ও শিল্পে পানি সংকট, এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্বব্যাপী বিশ্ব পানি দিবস (World Water Day) পালিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির গুরুত্ব তুলে ধরা এবং বিশ্বব্যাপী সুপেয় পানির অভাব মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টি করা।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ প্রথমবারের মতো এ দিবসটি উদযাপন শুরু করে।প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট থিম নির্ধারণ করা হয়, যা পানিসম্পদের সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং পানি সংকট মোকাবিলার উপর গুরুত্ব দেয়। এই দিবসটি সরকার, বিভিন্ন সংস্থা এবং সাধারণ মানুষকে পানি সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করে।বিশ্বের বহু অঞ্চলে এখনও পরিষ্কার পানির অভাব ও দূষণজনিত সমস্যা বিদ্যমান। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG-6) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।বিশুদ্ধ পানির সংকট মোকাবিলায় পানির অপচয় রোধ করতে হবে,
নদী ও ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলো সংরক্ষণ করতে হবে,বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে,শিল্প কারখানার বর্জ্য পরিশোধন নিশ্চিত করতে হবে,সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যেন প্রতিটি মানুষ নিরাপদ পানি পাওয়ার অধিকার রক্ষা করতে পারে।পানির সংকট শুধু আজকের নয়, এটি ভবিষ্যতের এক ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ। আমাদের একফোঁটা পানিও অপচয় করা উচিত নয়। আজ আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে আগামী প্রজন্মের জন্য সুপেয় পানি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠবে। আসুন, আমরা পানির মূল্য বুঝি, নিরাপদ পানি সংরক্ষণ করি এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দায়িত্বশীল হই।
পানি সাশ্রয় করুন, ভবিষ্যৎ বাঁচান। পরিষ্কার পানি, সুস্থ জীবন।