মো:ইসহাক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
পথ বদলায়, সময় বদলায়, কিন্তু কিছু মানুষের আনুগত্য বদলায় না। ক্ষমতার পালাবদলের গল্প যত পুরোনো, ততই পুরোনো কিছু মুখের নতজানু রাজনীতি। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের দেয়াল এবং চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের দরজায় টানানো গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার যেন সেই চিরচেনা চিত্রেরই প্রতিচ্ছবি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দেয়ালসহ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের দরজায় লাগানো এই পোস্টার। পোস্টারের শীর্ষে লেখা— “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”, নিচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার ছবি। আর তার সাথেই বড় হরফে আহ্বান— “দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের গৃহীত কর্মসূচি সফল করুন”।
পোস্টারের নিচে উল্লেখ রয়েছে— “প্রচারেঃ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনসাধারণ”।
স্থানীয়দের মতে, ইউনিয়ন পরিষদের দেয়ালে এ ধরনের রাজনৈতিক পোস্টার লাগানো সরাসরি প্রশাসনিক নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ইয়াসিন মিয়া বলেন, “মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ মিয়া আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি সবসময় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এ পোস্টার সেই রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি এখনো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করছেন।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য হাসানুর রহমান সজিব বলেন, ফ্যাসিষ্ট খুনি হাসিনা কে যারা পূর্নবাসন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের কে প্রতিহত করব। বিশেষ করে প্রশাসন কে বলব এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ হারুন বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী চক্রান্ত অব্যাহত আছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পালিয়ে যাওয়া হাসিনার উপর আস্থা রাখতে বলে তবে ঈদ পরবর্তী সময়ে ঈশ্বরগঞ্জে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয় তবে এর জন্য দায়ী থাকবে সে।
এবিষয়ে মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফরিদ মিয়ার বলেন, আমি আজকে অফিসে যাই নাই এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।